সিনিয়র ক্রিকেটের গল্পটাই বোধকরি জুনিয়র দলে চলে গেল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে যুবা ক্রিকেটারদের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল দেখেছে ব্যাটিং বিপর্যয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কান যুবাদের বিপক্ষে ব্যাটিং ইনিংসে ৩৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর মতো ধস দেখেছে বাংলাদেশের আগামীর তারকারা।
সেটা থেকে আর বেরিয়েও আসা হয়নি তাদের। শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডারের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ থেমেছে ১৪৩ রানে। শেষ পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচটা তাদের হারতে হয়েছে ৯৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেটের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের শুরুর চার ব্যাটারের ৩ জনই আউট হয়েছেন বিশ রান করার আগে। তবে সেনুজা ওয়েকুনাগোদা খেলেছেন ৫০ রানের ইনিংস। তাতে অবশ্য প্রাথমিক বিপর্যয় ভালোই সামাল দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
তবে মিডল অর্ডারে হয়েছে বাংলাদেশের দুঃসময়ের শুরু। চামিকা হেনাতিগালা খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস আর কাভিজা গেমাগের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ রানের ইনিংস। দুজনের জুটি ১২৭ রানের। ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটা শেষ পর্যন্ত করেছে ২৪১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের জাওয়াদ আবরার ফেরেন ১৯ রান করে। দলীয় রান তখন ২৯। কালাম সিদ্দিকি আর অধিনায়ক আজিজুল হক তামিমের জুটি যোগ করে ৪৫ রান। তামিম ফেরেন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। দলীয় রান তখন ৭৪। সেখানেই শুরু বিপর্যয়ের। এরপর বাংলাদেশের যুবাদের আর কেউই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস।
দলীয় ৭৪ থেকে ১০৯ রান পর্যন্ত যেতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট। কালাম সিদ্দিকিই ছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ রান। আব্দুল্লাহর ১৭ এবং আল ফাহাদের ১২ রান ছাড়া মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৪৩ রানে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হার ৯৮ রানে।